ক্লান্তি দূর করে শরীর চাঙ্গা করার জন্য
এটি জনপ্রিয় পানীয়। কফি যেমন শরীর চাঙা
করে তোলে তেমনি কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। শহরের জীবনে পানীয় হিসেবে কফি বেশ জনপ্রিয়।
কফি গাছ ঝোপের মত হয়। Rubiaceae পরিবারভুক্ত কফি মাঝারি উচ্চতার চিরসবুজ প্রকৃতির গাছ।
কফি প্রায় ৬০
টি দেশে উৎপাদিত হয়। বৃহত্তম কফি উৎপাদনকারী দেশগুলি হলেন: ব্রাজিল, কলম্বিয়া,
ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া এবং ভারত। বাংলাদেশের
বান্দরবন, কক্সবাজার এমনকি নীলফামারীতেও কফি চাষ হচ্ছে যার মান অত্যন্ত ভালো।
কফি উদ্ভিদটি বর্ধনের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন, যা
বছরে ১৫০০-২২০০মিমি জাতীয়। এ্যারাবিকার কফি চাষের জন্য ১৫-২৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড
এবং রোবাস্তার জন্য ২৪-৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা প্রয়োজন।এ্যারাবিকা কফি
সমুদ্র স্তর থেকে ১০০০-২২০০মিটার ও রোবাস্তা ১০০-৭০০মিটার উচ্চতায় ভালো জন্মে।
উচ্চতা যত বেশি হবে, পাকা হয়ে গেলে তত সুগন্ধযুক্ত মটরশুটি হয়। মাটির এবং পরিবেশ
এর স্বাদ বৈশিষ্ট্যের উপরও খুব দুর্দান্ত প্রভাব ফেলে। ভূমির ঢাল সামান্য
ঢালু হলে কফি চাষের পক্ষে আদর্শ হয়।কফি ছায়া পছন্দ করে বলে ছায়া প্রদানকারী গাছের প্রয়োজন
কফিচাষের জন্য।ভারতে কফি বাগিচাতে এই জন্য নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর কলা গাছ রোপন করা
হয় সরাসরি সূর্যের কিরণ থেকে কফি গাছকে রক্ষা করতে।
কফি
গাছ ৪০ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় বেড়ে উঠতে পারে, তবে ফসল
তোলা সহজ করার জন্য চাষ করা গাছগুলি ৬-৯ ফুট পর্যন্ত রেখে ছাঁটাই করা হয়। কফি গাছ
২০-৩০ বছর বাঁচে।
বাণিজ্যিক
চাষের জন্য প্রতি হেক্টরে ৩০০০-৫০০০ কফি গাছ রোপন করা হয়। সারি-সারি দুরত্ব ৫-৭ফুট
ও গাছ –গাছের দুরত্ব
৫-৭ ফুট রাখতে হবে। কফির চারা রোপনের জন্য ১.৫ X১.৫ X১.৫ ঘন
ফুট গর্ত করতে হবে।পর্যাপ্ত কম্পোস্ট সার দিতে
হবে। মাটির পিএইচ ৬.১-৬.২ বজায় রাখতে হবে। বৃদ্ধি পর্যায়ে
প্রতি হেক্টরে ৫০ কেজি নাইট্রোজেন,৫০ ফসফরাস এবং ৫০ পটাশ
প্রয়োজন।
প্রথম বছরে,
গাছের কোনও ফলন দেওয়া উচিত নয়। দ্বিতীয় বছরে, কম ফলন অনুমোদিত, গাছে প্রতি ১.৫ কেজি
তাজা চেরি বেশি নয়। তৃতীয় বছর থেকে উৎপাদন শুরু হয়। লালচে কমলা রং ধারণ করলে কফি ফল হাত দিয়ে তুলতে হয়।
উত্তর সমূহ