১। আমন ধান ক্ষেতে বাদামী গাছ ফড়িং বা বিপিএইচ পোকার আক্রমণ দেখা যাচ্ছে। এ
পোকাকে কোন কোন এলাকায় “গুণগুনি” বা “কারেন্ট পোকা” বলা হয়ে থাকে। এ পোকা
বাচ্ছা ও পূর্ণ বয়স্ক দু’অবস্থায় ধান গাছের গোড়ায় বসে রস চুষে খায়। এর ফলে
গাছ নিস্তেজ হয়ে যায় এবং “ফড়িং পোকা” বা “বাজপোড়া” (হপার বার্ন) অবস্থার
সৃষ্টি হয়। এ পোকার আক্রমণ হলে ধানের ফলন অনেক কমে যায়। সেজন্য এ পোকার
আক্রমণ হওয়ার সাথে সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। পোকা দমনের জন্যে যে
ব্যবস্থাগুলো নিতে হবে তা হলো:
১) নিয়মিতভাবে গাছের গোড়া ভালভাবে খেয়াল করতে হবে;
২) জমিতে বাদামী গাছ ফড়িং এর সংখ্যা বেড়ে গেলে ক্ষেতের পানি বের করে জমি শুকাতে হবে;
৩) ধান ক্ষেতে দু’হাত পর পর ফাঁড়ি দিয়ে গাছের গোড়ায় রোদ ও আলো বাতাস লাগার ব্যবস্থা করতে হবে;
৪) আইলের আগাছা ও জমিতে খড়কুটা থাকলে তা পরিষ্কার করে দিতে হবে;
৫) ধান ক্ষেতে আলো ফাঁদের ব্যবস্থা করা দরকার। জমিতে হাঁস ছেড়ে দিয়ে ও পোকা দমন করা সম্ভব;
৬) জমিতে পরিমিত মাত্রায় সার ব্যবহার করা প্রয়োজন। উর্বর জমিতে ইউরিয়া সারের উপরি প্রয়োগ কমানো দরকার;
৭) ক্ষেতের ধান শতকরা ৮০ ভাগ পেকে গেলে দেরি না করে কেটে ফেলা ভালো;
৮) আক্রমণ বেশি হলে অনুমোদিত কীটনাশক (মিপসিন, সপসিন, কনফিডর প্রভৃতি
জাতীয় কীটনাশক) সঠিক মাত্রায় গাছের গোড়া থেকে ভালভাবে সেপ্র করা দরকার;০২।
উত্তর সমূহ
১। আমন ধান ক্ষেতে বাদামী গাছ ফড়িং বা বিপিএইচ পোকার আক্রমণ দেখা যাচ্ছে। এ পোকাকে কোন কোন এলাকায় “গুণগুনি” বা “কারেন্ট পোকা” বলা হয়ে থাকে। এ পোকা বাচ্ছা ও পূর্ণ বয়স্ক দু’অবস্থায় ধান গাছের গোড়ায় বসে রস চুষে খায়। এর ফলে গাছ নিস্তেজ হয়ে যায় এবং “ফড়িং পোকা” বা “বাজপোড়া” (হপার বার্ন) অবস্থার সৃষ্টি হয়। এ পোকার আক্রমণ হলে ধানের ফলন অনেক কমে যায়। সেজন্য এ পোকার আক্রমণ হওয়ার সাথে সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। পোকা দমনের জন্যে যে ব্যবস্থাগুলো নিতে হবে তা হলো: ১) নিয়মিতভাবে গাছের গোড়া ভালভাবে খেয়াল করতে হবে; ২) জমিতে বাদামী গাছ ফড়িং এর সংখ্যা বেড়ে গেলে ক্ষেতের পানি বের করে জমি শুকাতে হবে; ৩) ধান ক্ষেতে দু’হাত পর পর ফাঁড়ি দিয়ে গাছের গোড়ায় রোদ ও আলো বাতাস লাগার ব্যবস্থা করতে হবে; ৪) আইলের আগাছা ও জমিতে খড়কুটা থাকলে তা পরিষ্কার করে দিতে হবে; ৫) ধান ক্ষেতে আলো ফাঁদের ব্যবস্থা করা দরকার। জমিতে হাঁস ছেড়ে দিয়ে ও পোকা দমন করা সম্ভব; ৬) জমিতে পরিমিত মাত্রায় সার ব্যবহার করা প্রয়োজন। উর্বর জমিতে ইউরিয়া সারের উপরি প্রয়োগ কমানো দরকার; ৭) ক্ষেতের ধান শতকরা ৮০ ভাগ পেকে গেলে দেরি না করে কেটে ফেলা ভালো; ৮) আক্রমণ বেশি হলে অনুমোদিত কীটনাশক (মিপসিন, সপসিন, কনফিডর প্রভৃতি জাতীয় কীটনাশক) সঠিক মাত্রায় গাছের গোড়া থেকে ভালভাবে সেপ্র করা দরকার;০২।