ধনিয়া বারি ধনিয়া-২


  • জাত এর নামঃ

    বারি ধনিয়া-২

  • আঞ্চলিক নামঃ

  • অবমূক্তকারী প্রতিষ্ঠানঃ

    বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট

  • জীবনকালঃ

    ০ দিন

  • সিরিজ সংখ্যাঃ

  • উৎপাদন ( সেচ সহ ) / প্রতি হেক্টরঃ

    ০ কেজি

  • উৎপাদন ( সেচ ছাড়া ) / প্রতি হেক্টরঃ

    ০ কেজি

  • জাত এর বৈশিষ্টঃ

    1. ১। ধনিয়া গাছ উচ্চতায় ১০০-১৩৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
    2. ২। প্রতি গাছে পাতার সংখ্যা ১৮-২১ টি।
    3. ৩। প্রতি গাছে গড় আম্বেল ৬৩ টি, প্রতি আম্বেলে আম্বেললেটের সংখ্যা প্রায় ৬ টি এবং প্রতি আম্বেললেটে বীজের সংখ্যা প্রায় ৬ টি।
    4. ৪। প্রতি ১০০০ বীজের গড় ওজন ১১.৫৩ গ্রাম।
    5. ৫। বীজগুলো হরিদ্রা বর্ণের মাঝারী আকারের।
    6. ৬। পাতা ও বীজের উভয়ই ব্যবহার্য।
    7. ৭। বীজ এর ফলন প্রতি হেক্টর ১.৭৭-২.৩০ টন।
    8. ৮। এ জাতের ধনিয়া বিশেষ বৈশিষ্ট (মে থেকে আগষ্ট ব্যতিত) বছরের বেশীর ভাগ সময় পাতা হিসাবে চাষ করা যায়।

  • চাষাবাদ পদ্ধতিঃ

    1. ১ । বপনের সময় : কার্তিক থেকে অগ্রহায়ণ (মধ্য অক্টোবর- মধ্য নভেম্বর) মাস বীজ ফসলের জন্য উত্তম। তবে সবুজ পাতা ধনিয়ার জন্য মে থেকে আগষ্ট মাস ব্যাতিত বপন করা যায় এবং ভাল দাম পাওয়া যায়। সাথী ফসল হিসাবে শাক-সব্জি, আখ, আলু, ডাল ফসলের জমিতে ধনিয়া চাষ করা যায়। অতিরিক্ত সূর্যালোকে বীজ বপন করলে অঙ্কুরোদগমে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। ধনিয়া বীজের জন্য বিলম্বে বীজ বপনে এর স্বাবাভিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং বিভিন্ন রোগবালাই এর আক্রমন বেড়ে যায়। সারিতে হেক্টর প্রতি ৮-১০ কেজি ও ছিটিয়ে বোনার ক্ষেত্রে ১০-১২ কেজি বীজ দরকার।
    2. ২ । মাড়াইয়ের সময় : বপনের ৪৫-৫০ দিন পর গাছে ফুল আসে এবং ১৩৫-১৪০ দিন পর ধনিয়া পাকে। পাকলে গাছ হলদে হয়ে পাতা শুকিয়ে যায়। সাধারনত খুব ভোরে অর্থাৎ সূর্যের আলোর প্রখরতা বৃদ্ধির পূর্বে গাছ উঠাতে হবে। ধনিয়ার বীজ হালকা সবুজ অবস্থায় থাকতেই গাছ তুলতে হবে। নতুবা বীজের মান ভাল হয় না।বীজ রোদে শুকিয়ে ঝাড়াই-মাড়াই করে পৃথক করা হয়। বীজে আর্দ্রতার পরিমান ১০% রেখে শুকিয়ে ভালোভাবে সংরক্ষন করতে হবে।
    3. ৩ । সার ব্যবস্থাপনা : জমি তৈরির সময় গোবর, এমওপি ও টিএসপি, জিপসাম, জিংক ও বোরণ সার প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া ২ কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হবে। চারা গজানোর ১৫ দিন পর ১ম কিস্তি এবং চারা গজানোর ৪০ দিন পর বাকি সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে।